শহিদুল বাংলা কবিতা

নবসূতিকা
নবোঢা মোর প্রানের স্পন্দন নলিন রুপে উঠ হৃদি শৈবালে
Click Here
প্রুষ্পলতা
আর তরী নিয়ে যাক বয়ে একমুঠো না বলা ব্যাথাকে সমুদ্র তট বেয়ে অজান্তে
Click Here
কবিতা
কবিতা ছুড়ে ফেল হারানোর ভয় কিসের বিচ্ছেদ কিসের না পাওয়ার জ্বালা হয় আসল পাওয়াতো ঘটে নিজ অন্তরে যদি সে অন্তর ডোরে বাঁধা রয়
Click Here

জনপ্রিয় কবিতাসমূহ

 

ওগো প্রিয়া তুমি আপন ভুলা

আনিলে মোর নিথর জলে ঢেউয়ের দোলা।

মনমালাখানি নিয়ে মোর

একি বাঁধিলে অলখ ডোর

গোপন প্রানে তোমার কি সুর তোলা।

জেনেছ তো তুমি মোর অজানা প্রানের নীরব কথা

তোমার সুরে আমার প্রানে

একি ব্যকুলতা,

এসেছিলে কি তুমি সাঝের বেলায়

ছিলাম যখন কাজের খেলায়

চুপিসারে

 

সব ছেড়েছি সব ফেলেছি

গঙ্গার জলে ভেসে গেছি

সকল জনার মুখে

আমি জানি তোমার প্রেমে

ডুব দিয়াছি অতল জলে

একটু যদি ঠাঁই মিলে

ঐ চরণ ধুলাতে।

কটিক বাঁধা ভেঙ্গে ধাঁ ধাঁ

আসবে প্রানেতে।

আর্ধেক আলোক রাশি রন্ধন

যে আত্মার পরম বন্ধন

সেও যদি করে গমন

দেহ মন ত্যাগে

তবে কিভাবে হব বিভোর

কিসেতে মিলাব সুর

কোথা পাব পরমানন্দ

কোথা সব সুখ

আধারের বৈচিত্র রুপে

কে পারে চিনিতে নিজেরে

সর্বাঙ্গ যদি হয় ব্যাথার ভরে

তবে তার ছায়া হবে কে

কে হবে শোকের মায়া

অন্তর জ্বালা

ভালবাসা।

Shahidul Bangla Kobita

শহিদুল কবিতা

সন্ধান

আমি পার্থিব সুখ খুঁজি

শান্তির নীড়ে গা ভাসাতে চাই

যা মোর অপূর্ণতা তাই ভাবি আনন্দে ভরা

কোলাহল পূর্ণ সুখ।

যা পাই তাই অচেনা রূপে

দুঃখের স্রোতে ভাসে।

ভেবেছিলুম পৃথিবীতে ভোগে

সুন্দরী নারী জাতি তরে এটা মিলে

নাই, মায়াময়ী, মিথ্যাময়ী

এরাও ছলনা হানে

এক ছেড়ে অন্য শত শতাব্দীতে

শুধু বিষাক্ত জ্বালা

আত্মার সুধ্বি নাহি মিলে।

উত্তেজিত মন আমার সুখ কোথা পাবে?

মানব জাতির দেহ লিলায়

অঙ্গে ঢঙ্গে মেতে

কেবলি অন্ধকার ডাকে।

লোভ লালসার মুখোশ পড়ে

যতই নিজেরে করি আড়াল

মুখোশের অন্তরালে আমি একাকার

বিষাক্ত জ্বালায়

জ্বলছি তিলে তিলে।

গাড়ী বাড়ি অট্টালিকার পরে

ঋতু ভিন্ন যান্ত্রিক কোলাহলে

বিলাসীতায় ভাসাই মোরে

ভেবেছিলাম সব সুখ বুঝি

বিত্তবানের ত্বরে

এও মিছা প্রেমহীন জগতে

মানুষ মানুষকে অচেনা করে।

দারিদ্র লাঞ্চিত কুটিরে

শ্রমিেেকর ঘামের ফসলে

দু’মুঠো ভাত

না পাওয়ার তীব্র বাসনাতে

সুখ কোথা?

ক্ষুদার্থ পেটে।

কোথা প্রেম কোথা ভালবাসা

স্বার্থবীনে ঘটে

ভিক্ষুকের ত্বরে ভিক্ষা সেও তো

পরপারের লোভে।

কে আমি? কে তুমি?

কিসের প্রাণে প্রাণ বাঁধা টান

হারায় সবি, সময়ের ব্যবধানে।

একই ঘরে বসত করি একই হাড়ির ভাত

তারও তো ভিন্ন সত্ত্বা

ভিন্ন মনোভাব।

কোথায় সুখ কোথায় দুঃখ

এসবের মালিক কে?

বোধ শক্তির কারিগর যেজন

আত্মার মিস্ত্রী

সেইবা কেনে গড়িল সবি।

আজ ভাবি অকারণ, সবি অকারণ

শূন্যের দলে মোর বিচরণ

কি যে চাই, কিই বা পাই

কি যে হারায়

কেমনে তাহা বুঝি

আজ কি যে কি

তার সন্ধান কে দিবি।

চঞ্চল

যাহাতে শত বাঁধা লাঞ্চনা অপমান

মোর বুকে জাগে সেই তৃষা

ধুপের ধুয়ায় ভেসে জীবনের অবক্ষয়

রঙের হাড়িপেতে মনের হাড়ি ভাঙ্গি

কামনায় আজ মেতেছে রবি

হারায়েছি সকল দিশা।

ফুলবনে যাব ঘ্রাণে মাতবো

পরাগে মিলাব ঠোঁট

ফুল গহ্বরে অবুজ মনে

মিঠা সরাবে তৃষ্ণা মিটে

পিয়িব আজ গেলাস ভরা স্বাদ

তাহার অধর চেপে।

চঞ্চল প্রাণ

মিলিবে মিলিবে

ভাঙ্গিব সব বাঁধ।

সত্ত্বা

লোকচুরি আমার সাজেকি ?

তোমায় ফাঁকি দেয়া

দূরে ঠেলে অগোচর করা

তোমা বিনে পথ চলা

দূরে রাখতে তোমায়।

তুমি যদি হও মোর প্রেম

অনন্ত ভালবাসা, আত্মা

আমার অন্তরে যদি হয় তোমার বসত

তবে, এসব লুকোচুরি ফাঁকি

কাকে দেবো বল

নিজ সত্ত্বা ছাড়া।

আত্মার আকুল আবেসে

মিথ্যা কোলাহলে

কে ঠকিয়েছে নিজেরে?

আজ তুমি কে আমি কে

কাকে কে দিবে ফাঁকি

যদি হই মোরা একসত্ত্বা

আত্মাতে আত্মা মিশে।

তাই বলি ভাব অকারণ

নিজেরে শুধাও

অন্তর পানে চাও

তবেই দেখিবে মোরে

একই বন্ধনে রয়েছি মিসে

এক আত্মাতে।

ভৃত্য

কোন এক পথ’ পরে
ভৃত্যের আখিদ্বয়ে চেয়ে
তুলি লব বক্ষে।
ব্যাথা তুরা পৃথিবীরে
নিরবে উঠাবো জেগে
চির চঞ্চল।

হৃদ ভাঙ্গা বুকে আমারি পরশে
ফের ভরিয়া উঠিবে
প্রেম সঞ্চার ।

তুমি মোর কবিতা

মো: শহিদুল ইসলাম

                                                                                    তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৪

আজ বুঝিলাম তুমি মোর

কবিতার রাণী।

পঙক্তি বিন্যাস রূপে

চরণে চরণে তোমার ছবি আঁকি

তোমার লজ্জা রাঙামুখ

আর বৈচিত্র ঢঙে

আমার স্বরলিপির প্রকাশ ঘটে

ওগো আমি অনুসারি তোমার

তোমার কণ্ঠ মিসে প্রতি অক্ষরে

ছন্দের গীতিময়তা তোমার সুরে রাঙে

সনেটের সুসংহত ভাবে

কখ খক, খক খক, গঘ ঘগ, ঙ ঙ রূপে

শব্দের অনুসঙ্গে তোমার আভাস মিলে

ওগো তুমিই আমার কবিতা রূপে এলে

ভিতর জগত বাহির জগত

আধ্যাত্মিক অধ্যায়ে

তুমিই রও জাগ্রত

মূল বক্তব্যে।

শিরোনামে যাই লিখি

তাতেই তোমার শব্দ রাজি

তোমার বিচিত্র ঐশ্বর্য ও ভাব কল্পনায়

নামকরণ স্বার্থক হাল তাই

তোমায় ঘিরেই লিখব আমি

আমার জীবন কবিতা

সকল কালের সকল স্রোতে

তুমি আছ তুমি রবে

তুমিই মোর কবিতা।

নিরুদেশের যোদ্ধা

মো: শহিদুল ইসলাম

আমি যদি জানতাম প্রতিটা কার্যের ফল,
তবে শূন্যে হাতরে অদৃশ্য আশায় বুক বাধতাম না।
হারানোর ব্যাথায় নিজেকে নিমজ্জিত করে,
জয়ের নেশায় মেতে উঠতাম না।

আমার জানাই আমাকে স্বাদহীন
নিরবধি জয়কে এনে জড়ো করতো প্রতিদিন।
আমার সত্তা থেকে নিপুন দক্ষতার
সকল মূল্য মুছে যেত অতল গভীরে।

আমি যোদ্ধা, জেতার নেশায় পাগলের মতো
ছুঁটে বেড়াই শত হারের মাঝেও,
অবারিত শান্তি যে জয়ে আছে
তাকে পাওয়ার লোভে।

জানি শত শত বীর হারিয়েছে,
হারিয়ে যাবে এ যুদ্ধে।
যে যুদ্ধ নিজের সাথে, পরিবারের সাথে ,
সমাজ, দেশ ও বিশ্বের সাথে।

তবু কিছু প্রাণ রয়ে যাবে
সময়ের হিসাব নিকাশ পেরিয়ে,
তারাই দাড়াবে চূড়ায়
শান্তির পতাকা জড়াবে বুকে।

তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৪

Back to top button